বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৯ অপরাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাবে যা করণীয় জমি আপনার, দখল অন্যের! কী করবেন? রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যুতে সংবিধান, আইনী নৈরাজ্য ও অতীত ইতিহাস! শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতির মিথ্যাচার বনাম সাংবিধানিক সমাধান! সহায় সম্পত্তি পুণ্যের কাজে ওয়াক্ফ গঠন ও প্রাসঙ্গিকতা! শেকড়ের সন্ধানে সাঁইজির ধামেঃ লালন কি জাত সংসারে— রক্তাক্ত মাহমুদুর রহমানের কুষ্টিয়ায় আগমন বনাম দুধের মাছিদের আনাগোনা! জনপ্রশাসন, জেলা প্রশাসক ও স্যার সম্বোধন কতটা সংবিধান ও আইনসম্মত! ক্রেতা ঠকে গেলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে যত আইনগত প্রতিকার! আইনে জামিন চর্চা বনাম বিচারকের পদত্যাগের দাবীতে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ!
শতবর্ষ আগে সৃষ্ট আইনকে যুগোপযোগি করা সময়ের দাবী মাত্র

শতবর্ষ আগে সৃষ্ট আইনকে যুগোপযোগি করা সময়ের দাবী মাত্র

 

এ্যাডভোকেট সিরাজ প্রামাণিক: একটি আইনি কৌতুকের মধ্যে দিয়েই লেখাটা শুরু করি। ৭৬ বছরের এক বুড়োকে আদালতে বিচারকের সামনে ৫০০ বারের মতো হাজির করা হয় মদ খেয়ে মারামারি করার জন্য। প্রতিবারই বিচারক তাঁকে খালাস দিয়ে দেন। কিন্তু কিছু দিন পর আবারও তাঁকে আদালতে হাজির করা হয় এবং এই হাজিরার নম্বর ছিল ৫০১তম। আত্মপক্ষ সমর্থন করে তিনি বলেন, ৫০০তম হাজিরা উদযাপন করছিলেন তিনি। আবারও বিচারক তাঁকে ৫০ পেনি ফাইন করে বিদায় করে দিলেন।

বলা বাহুল্য যে, শতবর্ষ আগে যে আইনটির জন্ম হয়েছিল তখনকার স্বার্থসিদ্ধির প্রেক্ষাপটে। শতবর্ষের বেশী হলেও এই আইনের তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।

১৬ বছর বয়সী এক কিশোরকে পুলিশ ধরে নিয়ে এসেছে আদালতে। হাতে হ্যান্ডকাপ, মাজায় দড়ি দিয়ে শক্ত করে বাঁধা। মনে হচ্ছে বড় কোনো অপরাধী। কিন্তু তা নয়। কিশোরটি মাতাল অবস্থায় পথচারীদের বিরক্তি করছিল। বিরক্তি উৎপাদনের কারনে পুলিশ তাকে দন্ডবিধির ৫১০ ধারা অনুযায়ী আদালতে সোপর্দ করেছে। আইনজীবী মহোদয় কিশোরটির পক্ষে দোষ স্বীকারের আবেদন জানালেন। বিচারক মাত্র ১০ টাকা জরিমানা করে কিশোরটিকে ছেড়ে দেয়ার আদেশ দিলেন। কি অদ্ভুদ দেশ! কি অদ্ভূদ আইন! যে দেশের ভালো কোনো হোটেলে এক কাপ চায়ের দাম ১০ টাকা। আর রাস্তাঘাটে মাতলামির শাস্তিও ১০ টাকা।

দন্ডবিধির ৫১০ ধারা অনুযায়ী রাস্তাঘাটে মাতলামি করলে সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টা বিনাশ্রম কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ টাকা জরিমানা। তার মানে এ ক্ষেত্রে জরিমানার পরিমাণ পাঁচ টাকা অথবা আট টাকাও হতে পারে। ২৫ বছর বয়সী এক যুবক অপরাধজনকভাবে রহিম মিয়ার গৃহে প্রবেশ করলেন। রহিম মিয়া তাকে হাতে নাতে ধরে থানাতে সোপর্দ করলেন। পুলিশ পরদিন দন্ডবিধির ৪৪৭ ধারায় তাকে কোর্টে প্রেরন করেন। মাত্র ৫০০ টাকা জরিমানা দিয়ে ওই যুবক তাৎক্ষণিক বেরিয়ে এসে রহিম মিয়াকে ভয় ভীতি প্রদর্শণ করে। দন্ডবিধির ৪৪৭ ধারায় বলা হয়েছে, অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশের জরিমানা হতে পারে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা। অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত খাদ্যে ভেজাল মেশাচ্ছে। সেসব খেয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অথচ ২৭২ ধারা মতে, বিক্রয়ের জন্য মজুদকৃত খাদ্য বা পানীয় দ্রব্য ভেজাল দিয়ে বিষাক্ত বা অনিষ্ট করার শাস্তি হচ্ছে এক হাজার টাকা জরিমানা। ধরুন, আপনার সাথে কেউ গায়ে পড়ে বিবাদ সৃষ্টি করল, ঝগড়া করল, মারপিট করল। আপনি তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করলেন। পুলিশ দন্ডবিধির ১৬০ ধারায় অভিযোগ আমলে নিলেন। কিন্তু ১৬০ ধারায় বলা আছে, কলহ সৃষ্টি করে শান্তি ভঙ্গ করলে, মারপিঠ করলে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা জরিমানা। ২৯০ ধারা মতে, জনসাধারণকে উৎপাতের জন্য জরিমানা সর্বোচ্চ ২০০ টাকা।

অন্যদিকে সরকারি দাবি আদায় আইনের ২নং তফসিলের ১৪নং বিধিতে বলা হয়েছে ৪০ টাকা মূল্যে অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করতে প্রকাশ্য নিলামের প্রয়োজন। তখনকার ৪০ টাকা আর এখনকার ৪০ টাকার মধ্যে অনেক পার্থক্য। বর্তমান সময়ে ৪০ টাকা মূল্যের সম্পত্তির জন্য নিলাম ডাকা নিতান্তই হাস্যকর ব্যাপার। এই ৪০ টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। ১৮৯০ সালের রেলওয়ে আইনে একটা উটের ক্ষতিপূরণের মূল্য ধরা হয়েছে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা, আর গাধা, ছাগল এবং ভেড়ার জন্য সর্বোচ্চ ৩০ টাকা। বর্তমানে একটি উটের মূল্য হবে কমপক্ষে ৪০ হাজার টাকা। আর একটি ছাগলের মূল্য হবে চার হাজার থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত।

এখন দেখার বিষয় হলো এতো কম পরিমাণ অর্থ এখনো আইনে বলবৎ আছে কীভাবে। আসলে আইনগুলো প্রণীত হয়েছিল বৃটিশ সরকারের অধীনে; আজ থেকে কমপক্ষে ১০০ বছর আগে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন বিধানের সংশোধনী হলেও উপরোল্লিখিত আর্থিক বিষয়গুলো আগের মতোই থেকে যায়। শুধু মুদ্রার নামের পরিবর্তন করা হয়েছে। রুপির পরিবর্তে টাকা বসানো হয়েছে। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টাকার মানের প্রতি লক্ষ্য রেখে যেখানে জরিমানার পরিমাণ নামমাত্র তা বৃদ্ধি করে শাস্তিমূলক পরিমাণ অর্থ অন্তর্ভুক্ত করা এবং যেখানে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বা অন্য কোনো আর্থিক পরিমাণ বর্তমান টাকার মানের চেয়ে খুবই নগণ্য তা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৮০ ধারানুসারে কোনো আদালতের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ দন্ডবিধির ১৭৫, ১৭৮, ১৭৯, ১৮০ বা ২২৮ ধারায় বর্ণিত কোনো অপরাধ করা হলে উক্ত আদালত মনে করলে অপরাধটি আমলে নিতে পারেন এবং অপরাধীকে কিছু টাকা জরিমানা করতে এবং অনাদায়ে কিছু দিন পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করতে পারেন।

দন্ডবিধির ১৭৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি আইনতঃ বাধ্য হওয়া সত্ত্বে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো সরকারী কর্মচারীর নিকট কোনো দলিল পেশ না করলে, তিনি অত্র ধারায় অভিযুক্ত হবেন। অপরাধীকে ৫০০ টাকা জরিমানা করতে এবং অনাদায়ে এক মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করতে পারেন।

দন্ডবিধির ১৭৮ ধারায় বলা হয়েছে, সরকারী কর্মচারী কর্তৃক প্রয়োজনীয় শপথ গ্রহণ করতে অস্বীকার করলে তিনি অত্র ধারায় অভিযুক্ত হবেন। অপরাধীকে ১০০০ টাকা জরিমানা করতে এবং অনাদায়ে ৬ মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করতে পারেন।

দন্ডবিধির ১৭৯ ধারায় বলা হয়েছে, আইনতঃ সত্য বলতে বাধ্য হওয়া সত্ত্বে প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার করলে তিনি অত্র ধারায় অভিযুক্ত হবেন। অপরাধীকে ১০০০ টাকা জরিমানা করতে এবং অনাদায়ে ৬ মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করতে পারেন।

দন্ডবিধির ১৮০ ধারায় বলা হয়েছে, আইনতঃ বাধ্য হওয়া সত্ত্বে সরকারী কর্মচারীর নিকট প্রদত্ত বিবৃতি স্বক্ষর করতে অস্বীকার করলে তিনি অত্র ধারায় অভিযুক্ত হবেন। অপরাধীকে ৫০০ টাকা জরিমানা করতে এবং অনাদায়ে ৩ মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করতে পারেন।

দন্ডবিধির ২২৮ ধারায় বলা হয়েছে, বিচার বিষয়ক কার্যক্রমের কোনো পর্যায়ে বিচারকের আসন গ্রহণকারী কোন সরকারী কর্মচারীকে ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান করা বা তাহার কার্যে বাধা দেওয়া হলে, তিনি অত্র ধারায় অভিযুক্ত হবেন। অপরাধীকে ১০০০ টাকা জরিমানা করতে এবং অনাদায়ে ৬ মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করতে পারেন।

৪৮৫ ধারা মতে, ফৌজদারি আদালত কর্তৃক আদিষ্ট দলিল বা জিনিস ফৌজদারি আদালতে আনতে কোনো সাক্ষী বা ব্যক্তি অস্বীকৃত জানালে এ ধারায় সাক্ষীর শাস্তির বিধান রয়েছে। শাস্তির মধ্যে রয়েছে সাত দিনের অনধিক যে কোনো মেয়াদের জন্য বিনাশ্রম কারাদন্ড অথবা ক্ষেত্র বিশেষে সাত দিনের অনধিক যে কোনো মেয়াদের জন্য আদালতের কোনো অফিসারের হেফাজতে আটক রাখা।

৪৮৫-এ ধারায় বর্ণিত মতে কোনো সাক্ষীকে ফৌজদারি আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করা হলে এবং ওই কোনো কারণ ব্যতীত সে হাজির হতে অবহেলা করে বা অস্বীকার করে অথবা আদালত হতে সে নির্ধারিত সময়ের পূর্বে বেআইনিভাবে চলে যায়, সে ক্ষেত্রে আদালত বিবেচনামত ন্যায় বিচারের স্বার্থে সংক্ষিপ্ত বিচারের মাধ্যমে তাকে কারণ দর্শানোর সুযোগ দিয়ে অনধিক দুইশত পঞ্চাশ টাকা জরিমানা করতে পারেন।

উপরে বর্ণিত ধারাগুলি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বর্তমানে আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে বর্ণিত অপরাধের জন্য সাজার পরিমাণ খুবই কম। এ ধরনের সাজা অপরাধ সংঘটনে অপরাধীকে নিরুৎসাহিত করে না। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ও ন্যায় বিচার নিশ্চিতকরণের স্বার্থে আইন আদালতের আদেশ পালন করা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য অবশ্য করণীয়। এমতাবস্থায় উল্লেখিত ধারায় বর্ণিত অপরাধের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সাজার পরিমাণ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ৪৮৫এ(২) ধারায় উক্ত অপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে আদালতকে সংক্ষিপ্ত বিচারের পদ্ধতি অনুসরণ করার কথা বলা আছে। তবে এক্ষেত্রে বিচার দ্রুত করার লক্ষ্যে ২৬৩ ধরায় বিধান অনুসরণ করে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার হওয়া বাঞ্ছনীয়।

শতাধিক বছর আগে বিচার ব্যবস্থার ত্রুটি ধরা পড়েছিল রবীন্দ্রনাথের কাছে। তিনি ‘উলুখড়ের বিপদ’ নামে একটি ছোটগল্প লিখে সেটা জানিয়েছিলেন। গল্পটির সংক্ষেপিত উদ্ধৃতি হচ্ছে এরকম ‘জমিদারের নায়েব গিরিশের বাড়িতে প্যারি নামে নতুন দাসী নিযুক্ত হইয়াছিল। তাহার বয়স অল্প; চরিত্র ভালো। একদিন সে বৃদ্ধ নায়েবের অনুরাগ দৃষ্টি হইতে আÍরক্ষার জন্য গ্রামে হরিহর ভট্টাচার্য মহাশয়ের নিকট আশ্রয় লইল। দুই-চারদিনের মধ্যেই ভট্টাচার্যের বাড়িতে পুলিশের সমাগম হইল। ঝি প্যারি চোর সাব্যস্ত হইয়া জেলে গেল। হরিহরের গৃহপ্রাঙ্গণের সংলগ্ন পৈতৃক জমি নায়েবের জমিদারের পরগনার অন্তর্গত বলিয়া নালিশ রুজু হইল। প্রাণাধিক পৈতৃক ভিটার মায়ায় বৃদ্ধ আদালতের সাক্ষ্যমঞ্চে গিয়া দাঁড়াইলেন। মুন্সেফ নবগোপাল বাবু তাঁহার সাক্ষ্যই প্রামাণ্য করিয়া মোকদ্দমা ডিসমিস করিয়া দিলেন। নায়েব আপিল রুজু করিল। একদিন জমিদার কাছারিতে ঢাকঢোল বাজিয়া উঠিল। ব্যাপারখানা কী। ভট্টাচার্য খবর পাইলেন, আপিলে তাঁহার হার হইয়াছে।

‘ভট্টাচার্য মাথা চাপড়াইয়া বসন্ত উকিলকে জিজ্ঞাসা করিলেন, আমার কী দশা হইবে। বসন্তবাবু বলিলেন, সম্প্রতি যিনি নতুন এডিশনাল জজ হইয়া আসিয়াছেন তিনি মুন্সেফ থাকাকালে মুন্সেফ নবগোপাল বাবুর সহিত তাঁহার ভারি খিটিমিটি বাধিয়াছিল। তখন কিছু করিয়া উঠিতে পারেন নাই; আজ জজের আসনে বসিয়া নবগোপাল বাবুর রায় পাইবামাত্র উল্টাইয়া দিতেছেন; আপনি হারিলেন সেই জন্য। হরিহর কহিলেন, হাইকোর্টে ইহার কোনো আপিল নাই? বসন্ত কহিলেন, জজ বাবু আপনাদের সাক্ষীকে সন্দেহ করিয়া বিরুদ্ধ পক্ষের সাক্ষীকেই বিশ্বাস করিয়াছেন। হাইকোর্টে তো সাক্ষীর বিচার হইবে না।’

প্রিয় পাঠক/পাঠিকা, দেখা যাচ্ছে বিচার ব্যবস্থাই ত্রুটিযুক্ত এবং সে কারণেই দুর্নীতির ভূত খুঁটা গাড়ছে। আমাদের চাই গণমুখী বিচার ব্যবস্থ। সেটা এমন হবে যেন কেউ মিথ্যা কিংবা হয়রানিমূলক মোকদ্দমা করতে সাহস না পায় এবং বিচার কাজটি একক ব্যক্তির হাতে না রেখে জুরি পদ্ধতি গ্রহণ করলে সামাজিক দায়বদ্ধতা দৃঢ় হবে। দুটি বাক্যে যা বললাম তার বিস্তৃত পরিকল্পনা দেয়ার জন্য একটি কিংবা একাধিক প্রবন্ধ যথেষ্ট নয়। একটি বই লেখা জরুরি।

লেখক: বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী, আইন গ্রন্থ প্রণেতা ও সম্পাদক দৈনিক ‘সময়ের দিগন্ত’। Email:seraj.pramanik@gmail.com,  মোবাইল: ০১৭১৬-৮৫৬৭২৮

 

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel